গোমস্তাপুর রাস্তার বেহাল দাসার জন্য জনো দর্ভোগে এলাকা বাসি


চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর  উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মিরাপুর   গ্রাম থেকে তিনপুকুর পর্যন্ত রাস্তা টি যেনো মরণ ফাদ  



রাস্তাটির এমনই বেহাল দশা যে সামান্য বৃষ্টিতে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলেরও কোনো অবস্থা থাকে না। কাঁচা এই রাস্তাটির কারণে প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, অসুস্থ রোগী ও  স্থানীয় গাড়ি চালোক সহ।


আর এসব ব্যপারে নজর নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও। বর্ষাকালে সাধারণত গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণের।

ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য  আনারুল ইসলামের 

বাড়ি হতে তিনপুকুর  পর্যন্ত ৮শত মিটার কাঁচা রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় আছে। দেখলে মনে হবে, এটি রাস্তা নয়; ধানের চারা রোপণের জন্য হাল চাষ করা হয়েছে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রাস্তাটিই গ্রামের সাধারণ মানুষের একমাত্র মাঠে যাওয়ার রাস্তা। রাস্তার দু’পাশে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসাবাস এবং ওই পরিবারগুলোর সকলেই এই রাস্তাটি ব্যবহার করেই গ্রামের মূল সড়কে ওঠে।


মিরাপুর  গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা  আরমান আলী জানান, আমার জন্মের পর থেকে দেখে আসছি রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পানির জন্য চলাচল করা  সম্ভব হয় না।


একই গ্রামের সোহেল আলী বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তাটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। রাস্তাটি পিচ অথবা ম্যাকাডম হলে মহল্লাবাসী খুব উপকৃত হতো।


স্থানীয় সূত্র আরো জানা যায় ৪,৫,৬, নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা ইউপি সদস্য মোসা নার্গিস বেগম বাড়ির পাশের পুসকুনির ড্রেন না থাকার কারণে রাস্তাটির আরও  বেহাল দশা 

রহনপুর  ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোকবুল হোসেন  জনান, আমার ওয়ার্ডের দুইটি রাস্তা কাঁচা রয়েছে। তার মধ্যে মিরাপুর থেকে তিন প্রকার রাস্তা পর্যন্ত,  এই রাস্তাটি কৃষি কাজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মাঠের ফসল এই রাস্তা দিয়েই গ্রামবাসী ঘরে তোলে। অনেকদিন ধরে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। আমি ইতোমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলীর ও সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান এমপিকে রাস্তাটি করার ব্যাপারে জানিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছে রাস্তাটি করে দেওয়ার জন্য।


কাঁচা রাস্তাটির ব্যাপারে রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব  আলী সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামের ওই রাস্তাটি কাঁচা রয়েছে। স্থানীয়দের অসুবিধার কথা চিন্তা করে শিগগিরই রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post