সুপেয় পানির সংকটে রাজধানীর তিতুমীর কলেজ।
কথায় আছে পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু সেই পানিই যদি জীবনের জন্য শঙ্কা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে কেমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে ভেবে দেখুন।
হ্যাঁ এমনই একটা প্রতিষ্ঠান এর কথা বলছিলাম। ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার বিবেচনায় দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ সরকারি তিতুমীর কলেজ। প্রায় ৬০০০০ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণা এখানে। কিন্তু সমস্যার বেধেছে অন্য জায়গায়। এত বড় প্রতিষ্ঠান হয়েও শিক্ষার্থীরা সুপেয় পানির সঙ্কটে ভুগছে।
গরমের এই কাঠফাটা রোদের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা যানযট উপেক্ষা করে ক্লাস করতে এসে তৃষ্ণা নিবারনের জন্য যেতে হচ্ছে মহাসড়ক অতিক্রম করে কোনো রেস্টুরেন্টে বা টঙ্গের কোনো দোকানে। ছেলেদের জন্য বিষয়টা কিছুটা সহজ হলেও মেয়েদের জন্য দুর্ভোগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিকল্প ব্যাবস্থায় কিনেই খেতে হচ্ছে সুপেয় পানি।
কলেজের কিছু কিছু সেমিনার কক্ষে পানি পিউরিফাইং ফিল্টার থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। তাছাড়া ফিল্টারগুলোর কিটও সময়মতো পরিবর্তন করা হয় না।যার জন্য ফিল্টার থেকে বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার বদলে অস্বাস্থ্যকর পানি বের হচ্ছে।যা পান করা শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।এ বিষয় নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম 'দৈনিক তালাশ টাইমস' প্রতিনিধিতে জানান "মিরপুর ১ থেকে অনেক যানযট উপেক্ষা করে কলেজে আসেন ক্লাস করার জন্য। কিন্তু পান করার মতো সুপেয় পানি কলেজে পান না। সেমিনার কক্ষে পানি পিউরিফাইং একটা ফিল্টার থাকলেও তা বহুদিন যাবৎ অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে একটা ফিল্টার আছে কিন্তু সেটা থেকে পানি আসে না বললেই চলে। ২৫০ মি.লি এর একটা বোতল পূর্ণ করতে প্রায় ৫ মিনিটের মতো লেগেছে। যা খুবই বিরক্তিকর একটা কাজ।
ইংরেজি বিভাগের অন্য আরেকজন শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ জানান, সে গাজিপুর থেকে নিয়মিত ক্লাস করতে আসে। গত বুধবার সুপেয় পানির জন্য সারা ক্যাম্পাস ঘুরেও পানি না পেয়ে বাধ্য হয়ে দোকান থেকে পানি কিনে পান করতে বাধ্য হন।
আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরাও সুপেয় পানির সল্পতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ তালাত সুলতানা ' তালাশ টাইমস' প্রতিনিধিকে বলেন, "আমাদের আমন্ত্রণে ওয়াশার দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ কলেজে আসেন। তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে অতিদ্রুত পানির সরবরাহ নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের পানির সংকট নিরসন করা হবে।"