রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২ জরিপ সহকারীর দুথদফায় ভিন্ন মাপযোগের কারণে জমি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ১৫নং ওয়ার্ডের আক্কেলপুর এলাকা। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। এদিকে দ্বিতীয় দফায় মাপযোগের পর এক পক্ষ ওই জমিতে রাতারাতি প্রাচীর নির্মাণ করায় এই সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডের আক্কেলপুর এলাকার জে.এল নং-৯৯, এস.এ খতিয়ান নং-২৪, বিএস খতিয়ান নং-১৩৮, সিএস দাগ-১১৮/১২০ ও ১৬২/১৬৪ নং হাল দাগের ২৫ শতক জমি ওই এলাকার মহাদেব চন্দ্র রায়ের পুত্র মুকুল চন্দ্র রায়গং পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হন।
গত বছরের ২২ জানুয়ারী আবেদনের প্রেক্ষিতে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের জমি জরিপ সহকারী আবু মুসা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কাগজ-পত্র মোতাবেক রেল লাইনের উত্তর পাশ থেকে ওই জমির সীমানা নির্ধারণ করেন।
এ সময় পার্শ্ববর্তী জমির মালিক একই এলাকার মৃত. আলহাজ্ব আবুল কাশেমের পুত্র ওসমান গণি সেখানে উপস্থিত থেকে সব দেখেশুনে সিটি কর্পোরেশনের জমি জরিপ প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওসমান গণি ও তারভাই আফজাল হোসেন রাতারাতি তফসিল বর্ণিত জমির দক্ষিণ দিকে প্রাচীর নির্মাণ করে। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২ জরিপ সহকারীর দুথদফায় ভিন্ন মাপযোগের কারণে বর্তমানে গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে মুকুল চন্দ্র রায় বলেন, তফসিল বর্ণিত ২৫ শতক জমিতে আমার বাপ-দাদার আমল থেকেই চাষাবাদ করে আসছি। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের জরিপ সহকারীদের ভিন্ন মাপযোগের কারণে আমাদের সম্পত্তি বিদ্যালয় ও রাস্তায় চলে গেছে। তিনি সহিংস ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশন থেকে দক্ষ জরিপ সহকারী নিয়োগ করে বিষয়টি সমাধানের জন্য মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করেন।