কলমাকান্দা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ
মোঃ খান সোহেল স্টাফ রিপোর্টারঃ নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার উব্ধাখালী নদীর সাথে সংযুক্ত পাঁচকাঠা জলমহাল টি। সরকারি ইজারাকৃত নদী জানা সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে বছরের পর বছর।অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় গাংধারকান্দা পাঁচকাঠা নদীর পাড় মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ জুয়েল মিয়া ২৮ জুন জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলো পাঁচকাঠা গ্রামের পিতা মৃত.মকবুল আলী ছেলে নবী হোসেনসহ তারই দুই ছেলে আব্দুল আলী ও করিম মিয়া, সন্ধ্যাহলা গ্রামের পিতা রহিম আলীর ছেলে মন্জু মিয়াঁ, মৃত আব্দুর রহমান ছেলে বাদশা মিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা উপজেলা পাঁচকাঠা জলমহাল সরকারি ইজারাকৃত নদী এবং এলাকার মানুষ চলাচল, গোসলসহ নিত্যকার কাজে ব্যবহার করে এ নদী। বর্তমানে গাংধারকান্দা পাঁচকাঠা নদীর পাড় মৎস্য জীবি সমবায় সমিতি লিঃ অধীনে রয়েছে। ইজারাদার মাছ সংরক্ষণের জন্য স্থানে মাছের অভয়াশ্রম করা হয়েছে। ইজারাকৃত জলমহল জানা সত্ত্বেও প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তারা ৪টি কার্গো নৌকা দিয়ে দিনে দুপুরে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নদীর পাড়ের মানুষের ক্ষতি করে যাচ্ছে এলাকাবাসীর কোন কথায় কর্ণপাত করে না বালু উত্তোলনকারীরা। এতে করে জায়গা জমি বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া সরকারি ইজারাকৃত নদীতে মাছের অভয় আশ্রমের মাছ সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে ও অভিযোগ করেন ।
ইজারাদার জুয়েল মিয়া বলেন, ২০/২৫ দিন ধরে পাশ্ববর্তী তারা বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে প্রায় ৪ টি নৌকা ড্রেজার বালুর উত্তোলন কাজে ব্যবহার করে । এতে স্থানীয় লোকজন বাঁধা দিলে খুন করে ফেলবে বলে ও হুমকী দেয় বালু উত্তোলনকারীরা। নদী ভাঙ্গণের অন্যতম কারণ হলো ড্রেজারে বালু উত্তোলন করা তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের যেন আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে কলমাকান্দা নিবার্হী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অভিযোগের কোন নোটিশ আসেনি,তবুও অতি শীগ্রই সরেজমিনে যাবো এবং বালু উত্তোলনকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
