বাউফলের কালিশুরীতে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মান
এম.সাইদুর রহমান সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ক্ষমতার দাপট দিয়ে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ২নং কালিশুরী ইউনিয়নের কালিশুরী বাজারের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের উত্তরে এবং কালিশুরী ডিগ্রি কলেজের দক্ষিণ দিকে হয়ে বাজারের সমস্ত ময়লা-আবর্জনা ওই কালভার্ট দিয়ে অলৌকি নদীতে প্রবেশ করে।কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দোকান নির্মান করা হলে এতে করে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।কালিশুরী বাজারের উত্তর মাথায় কালভার্টের মুখ দখল করে ক্ষমতা ও অর্থের প্রভাব বিস্তার করে দোকান নির্মাণ করছেন এনামুল হক সিকদার নামের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি।গত তিনদিন ধরে ওই কালভার্টের মুখে দোকান নির্মানের কাজ চলছে।
ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, কালিশুরী বাজার দক্ষিণ বাউফলের একটি ঐতিহ্যের ও পুরাতন বাজার।এই বাজারের সমস্ত ময়লা-আবর্জনা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ বাসাবাড়ি এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পানি নিস্কাশন সুবিধার্থে গেল দুই মাস আগে খালটি এক লক্ষ টাকা (সরকারি খরচে) পুনঃখনন করা হয়। এই খাল দিয়ে বাজারের এক তৃতীয়াংশ এলাকার পানি নিস্কাশন হয়। কালভার্টের মুখে প্রায় ১০০০ হাজার বর্গফুট জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করছেন এনামুল হক সিকদার।ইতিমধ্যে একটি ঘর তিনি স্থানীয় (পল্লী চিকিৎসক) আনোয়ার হোসেনের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।
যানা গেছে, কালিশুরী বন্দর শহরে তার কোটি কোটি টাকা মূল্যের জমি থাকা সত্ত্বেও সরকারি খাল দখল করে কালভার্টের মুখ আটকে এভাবেই দোকান নির্মাণ কাজ করছে।এতে কালিশুরী বাজারের ব্যবসায়ীকবৃন্দ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজমান।
এ ঘটনায় কালিশুরী বাজারের বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনামুল সিকদারকে কালভার্টের মুখে দোকান নির্মান করতে নিষেধ করার পরও তিনি(এনামুল) জোড়পূর্বক খাল দখল করে দোকান নির্মাণ করছেন।কারো কথা কর্নপাত করেনি। কালাম খান আরো বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ভূমি অফিসকে জানানো হয়েছে এবং ভুমি অফিসের তসিলদার সহ দু’তিনজনে ঘটনাস্থলে গিয়েছে।
তবে,খাল দখল করে দোকান নির্মাণের প্রশ্নে এনামুল সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার বাবা অলি সিকদার (মাস্টার) বিগত ত্রিশ বছর ধরে রেকর্ড সুত্রে ভোগদখল করে আসছে। আমি সরকারি কোন জমিতে দোকান নির্মান করিনি।আমার কাছে কাগজপত্র আছে।আর এখানে পুরাতন দোকান ভেঙ্গে নতুন করে উঠাচ্ছি।
এবিষয় কালিশুরী ইউনিয়ন সহকারী (ভুমি) কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন'র কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নের জবাবে প্রথমে এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং দোকান নির্মানের বিষয় মতামত জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে উত্তেজিত ভাব প্রকাশ করেন। পরে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে এনামুল সিকদারকে দোকানের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাউফল উপজেলার সহকারী (ভুমি) কমিশনার বায়েজিদুর রহমান বলেন, অতি শিগগিরই ঘটনাস্থলে গিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।