বিট পুলিশিংয়ের কল্যাণে হারানো সন্তান ফিরলো বাবা-মায়ের কোলে।
ঈদ পরবর্তী এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় অদ্য ১১/০৭/২০২২ ইং তারিখে সুজানগর থানাধীন সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন ৮ নং বিটের অফিসার এস.আই (নি) আবু হানিফা বিট কার্যালয়ে অবস্থান করাকালীন স্থানীয় লোক মারফত জানতে পারেন যে, একটি সাত (০৭) বছরের মতো বয়সের শিশু বাজারে কান্নাকাটি করছে। অতিদ্রুত বিট অফিসার সেখানে পৌঁছে বাচ্চাটিকে নিজের হেফাজতে গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে হারানো শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসেন এবং থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেক্স এর হেফাজতে শিশুটিকে রাখেন। অফিসার ইনচার্জ এবং বিট অফিসার শিশুটিকে তার নাম ঠিকানা ও পিতা-মাতার নাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি জানায় তার
পিতার নামঃমোঃ আমজাদ হোসেন, মাতার নামঃ মোসাম্মৎ নদী বেগম, এবং তাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া। শিশুটি আরো জানায় আজ সুজানগর থানাধীন কোনো এক এলাকায় তার নানা বাড়ি বেড়াতে আসছিলো। তাই তারা আজ সকালে সাভার হতে আরিচা তারপর স্পিডবোটে করে সুজানগর থানা এলাকায় প্রবেশ করার পর পথিমধ্যে শিশুটি তার পিতা-মাতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হারানো শিশুটিকে তার বাবা মায়ের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার জন্য, সুজানগর সার্কেল, সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম এবং সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ সুজানগর থানার ফেসবুক পেজসহ পুলিশের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেইজে ছবিসহ বিষয়টি শেয়ার করেন। একই সাথে সার্কেল এএসপি, ওসি এবং বিট অফিসার শিশুটির সাথে কথোপকথনের একপর্যায়ে জানতে পারেন শিশুটি সাভার আইডিয়াল মাদ্রাসার নার্সারি বিভাগের ছাত্র। পরবর্তীতে সার্কেল এএসপি এর নির্দেশনায় সাভার আইডিয়াল মাদ্রাসার নাম গুগলে সার্চ করে মাদ্রাসার ছবি ও লোগো বের করেন বিট অফিসার। ওই মাদ্রাসার লোগো শিশুটি কে দেখানো হলে শিশুটি জানায় তার আইডি কার্ডে অনুরূপ লোগো রয়েছে। পরবর্তীতে আবারো গুগলে সার্চ করে ওই সাভার আইডিয়াল মাদ্রাসার, অধ্যক্ষ জনাব আব্দুল বাসিত মহোদয়ের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তার সাথে যোগাযোগ করেন। অধ্যক্ষ মহোদয় তার প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র পর্যালোচনা করে শিশুটির পিতার মোবাইল নম্বর সরবরাহ করেন। সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার উক্ত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে শিশুটির পিতা-মাতার সহিত যোগাযোগ করেন এবং তাদের সন্তানকে সুজানগর থানায় প্রাপ্তির বিষয়ে অবগত করেন। শিশুটির পিতা-মাতা বিষয়টি অবগত হয়ে দ্রুত সুজানগর থানায় এসে উপস্থিত হন। এসময় শিশুটির পিতা-মাতা সুজানগর থানায় উপস্থিত হয়ে তাদের সন্তানকে দেখতে পেয়ে খুশিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শিশুটিও বাবা-মাকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনিটরিং এবং সকল বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করছিলেন পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, বিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত)।পরবর্তীতে সুজানগর সার্কেল এএসপি এর নির্দেশনায় এবং সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জের উপস্থিতিতে সুজানগর থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেক্স ও সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারের মাধ্যমে বিষয়টি সুজানগর থানার সাধারণ ডায়েরি ভূক্ত করে শিশুটিকে তার পিতা-মাতার নিকট হস্তান্তর করা হয়।