ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদের শাপলাকে ডেকে নির্যাতন করে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার অভিযোগ শশুর, স্বামী ননদের বিরুদ্ধে ।

 ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদের শাপলাকে ডেকে নির্যাতন করে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার অভিযোগ শশুর, স্বামী  ননদের বিরুদ্ধে ।





মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ শাপলার পেটে একের পর এক লাথি মারা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে সেখানকার এক প্রতিবেশী শাপলাকে উদ্ধার করে তার মামার বাড়িতে দিয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও জেলায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃবধূকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর, স্বামী ও ননদ সহ পরিবারের অন্যদের বিরুদ্ধে। ঠাকুরগাঁও

সদর উপজেলার রায়পুরের পদমপুরে ১১ জুলাই সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মৃত্যু হয়, গৃহবধূ শাপলা আক্তারের । ১৯ বছর বয়সী শাপলা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামের মেয়ে । তার অভিযুক্ত স্বামীর নাম ফয়সাল আহম্মেদ।  ১১ জুলাই সোমবার রাত ৮টায় সাংবাদিকদেরকে নিহত গৃহবধূর মামা মোস্তফা আহম্মেদ ও চাচা হায়দার আলী এসব কথা জানান। চাচা হায়দার আলী বলেন, ‘গত বছর ঢাকায় কর্মরত অবস্থায় ফয়সাল আমার ভাতিজিকে বিয়ে করে। ছেলের পরিবার বিষয়টি তখন মেনে নেয়নি। এরই মধ্যে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয় শাপলা। এ অবস্থায় কোরবানি ঈদের কথা বলে শাপলাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। আমরাও সোনার আংটি পাঠাই জামাইকে।’ হায়দার জানান, শ্বশুরবাড়ির দরজায় পা দিতেই ঈদের আগের দিন রাত দুটোয় হালের লাঠি দিয়ে শাপলাকে মারধর শুরু করেন তার শ্বশুর আব্দুল খালেক, স্বামী ফয়সাল ও ননদসহ আরও কয়েকজন। এ সময় শাপলার পেটে একের পর এক লাথি মারা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে সেখানকার এক প্রতিবেশী শাপলাকে উদ্ধার করে তার মামার বাড়িতে দিয়ে যায়। শাপলার মামা মোস্তফা আহম্মেদ বলেন, ‘আমার বাসায় দিয়ে যাওয়ার পর আমি তার চাচা হায়দার আলীকে জানাই। আমার বাসা থেকে তার বাবার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় শাপলাকে। শাপলার কাছেই জানতে পারি, কিভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে সে ব্যাথার কাতরাচ্ছিল। কিন্তু ঈদের ব্যস্ততায় হাসপাতালে না পাঠিয়ে তাকে বাড়িতেই সুস্থ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।’

মোস্তফা জানান, বাড়িতেই শাপলার মৃত্যু হয়। পরে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য শাপলার মরদেহ তারা এখনও দাফন করেননি বলেও জানান। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

Post a Comment

Previous Post Next Post