বাউফলে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু, আহত ২০

 বাউফলে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু, আহত ২০






এম.সাইদুর রহমান সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টজরঃ- পটুয়াখালী বাউফলের কালাইয়া টু ঢাকা নৌ রুটের কালাইয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী এমভি ধুলিয়া ও এমভি বন্ধন ৫ লঞ্চের প্রতিযোগিতামূলক লঞ্চ চালনা এবং রেষারেষি করে ধুলিয়া লঞ্চঘাটে ঘাট করার সময় একে অপরকে জায়গা না দেওয়ার জন্য তাদের খামখেয়ালী আচরণে সংঘর্ষের ফলে মার্জিয়া নামের এক শিশুর মৃত্যু এবং কমপক্ষে ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে ঘাট যাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়।


আজ (১৭ ই জুলাই) রবিবার বিকেল ৬:৪৫ মিনিটের দিকে ধুলিয়া লঞ্চ ঘাট স্টেশনে এমভি ধুলিয়া ও এমভি বন্ধন-৫ লঞ্চের প্রতিযোগীতা সংঘর্ষের কারণে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।


উল্লেখ্য, এর আগেও এই লঞ্চের কবলে আরো পাঁচ জন যাত্রী নদীতে পড়ে যায় কিন্তু তারপরও তাদের ভিতরে কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় নাই।তারই ক্ষেসারত আজ এই দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।


যানা যায়,কালাইয়া লঞ্চ স্টেশন থেকে আজ বিকাল চারটার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে এমভি ধুলিয়া ও  এমভি বন্ধন-৫ লঞ্চ ছেড়ে আসে উভয় লঞ্চে প্রতিযোগিতামূলকভাবে দ্রুত বেগে চালিয়ে আসছে ধুলিয়া লঞ্চঘাট স্টেশন কার আগে কে ঘাট করবে। ধুলিয়া লঞ্চটি ধুলিয়া লঞ্চঘাটে আগে পৌঁছে যায়গা দখল নিয়ে ঘাট করে এবং পরে বন্ধন ৫ লঞ্চটি যখন ঘাটে আসে তখন ধুলিয়া লঞ্চটি চওড়া করে ঘাটটি দখল করে রাখলে পরে বন্ধন ৫ লঞ্চটি স্বজোরে পল্টুনে ধাক্কা দেয়। ফলে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে মানুষের ভিতর আতঙ্কিত সৃষ্টি হয়ে লোকজন পারাপারি করার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রত্যেকটি লঞ্চের টিকিট কালোবাজারি দালাল আছে। আবার এই দালালরা তাদের টিকিট বিক্রি করার জন্য ৪/৫ জন করে কন্টাক করে লোক রাখে যা ২০০ টাকার টিকিট ৩০০-৪০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার কেবিন দুই হাজার এবং ২ হাজার টাকার কেবিন ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত বিক্রি করে যা এক পর্যায়ে যাত্রী সাধারণ দেরকে জিম্মি করে রাখে। এমনকি জোর করে তাদের হাতে টিকিট ধরিয়ে দেয় বলে অনেকে জানান।


আরো যানা যায়,দালালদের ইচ্ছে অনুযায়ী টিকিট না নিলে যাত্রীদের হতে হয় লাঞ্ছিত। যাত্রীরা তাদের স্বাধীন মত কোন টিকিট কাটতে পারে না।তাই যাত্রীদের ধারণা টিকিট কাউন্টার থাকলে এই সমস্ত দালালদের স্বেচ্ছাচারিতা থেকে স্বাধীনতা পেতো সাধারণ যাত্রীগণ।

Post a Comment

Previous Post Next Post