ভূরুঙ্গামারীতে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ।

 ভূরুঙ্গামারীতে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ।





এস এম নুরুল আমিন, ষ্টাফ রিপোর্টার  ভুরুঙ্গামারী থেকেঃ কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায়  পানি নিস্কাশনের ড্রেনের মধ্যেই ৩ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে । এতে করে ভবিষ্যৎ কার্যকরিতা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সংশয়ের। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাদ্দামমোড় থেকে  হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত ও একাধিক এরিয়ায় পানি নিস্কাশন ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করতে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে । এ ড্রেনের ভেতরে ৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি আগে থেকে স্থাপন করা ছিলো। সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা কার্যকর করতে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে । ড্রেনের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুটি পড়ায় সেখানে খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবেলায় ড্রেনের মাঝখান থেকে খুটি উঠাতে হলে আবারও ব্যয়ে ও ড্রেনগুলি ভাংতে হবে। 


উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২  অর্থবছরের আওতায় 'জাইকা প্রকল্পে'র কাজটি পেয়েছেন "চাঁদনী পেপার হাইজ" নামক প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ২০ জুনে শেষ করার কথা থাকলেও আজ অবদি শেষ হয়নি, ঢিলেঢালা ভাবে কাজ করছেন এখানে।  এতে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভগ।  ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ মিটার প্রস্থের এ ড্রেনটি   সর্বমোট ১২ লক্ষ ২২ হাজার ৪২৫ টাকা ব্যয়ে এই ড্রেনটি হচ্ছে।


স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানায়, দীর্ঘদিন থেকে ড্রেন করার জন্য মাটি খুঁড়ে রাস্তার উপরেই রেখে দিয়েছে এতে চলাচলের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। আরো বলেন এই রোডে সরকারি মেডিকেল ও ক্লিনিক থাকায় রোগীরা চলাচল করে বেশি। রাস্তার এই পরিস্থিতিতে রোগীদের রিক্সা অটোতে অনেক ঝাকুনি খেতে হচ্ছে।আমার জেনেছি খুঁটি গুলো সরাতে কাগজ এ দপ্তর থেকে ওই দপ্তর যাচ্ছে।আরও বলেন মাঝে এরকম ভাবে খুঁটি থাকলে পানি ও ময়লা ভালভাবে নিষ্কাসন হবে না। পরে ময়লা জমে গিয়ে ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সময় থাকতে এখনো খুঁটিগুলা সড়িয়ে পুনরায় ড্রেন নির্মাণ করা তা না হলে ভবিষ্যৎ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা  প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান বলেন ওই বিদ‍্যুতের পোল তিনটি সরাতে প্রায় ২৩ হাজার টাকা লাগবে।এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকে চিটি দিয়ে অবগত করা হয়েছে।


খুঁটির বিষয়ে চাঁদনী পেপার হাউজ নামক প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিদ‍্যুতের পোল সরানোর দায়িত্ব আমার না ওটা বিদ‍্যুৎ অফিসের।


এ ব্যপারে উপজেলা পল্লি বিদ্যুতের ডিজিএম কাউসার এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুঁটি সরানোর জন্য ইস্টিমেট দেওয়া হয়েছে ওরা ইস্টিমেট এর টাকা জমা দিলে আমরা কাজ শুরু করব।


উপজেলা নির্বাহি অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মার অফিসে গিয়ে শুনতে পাই সে অফিসে নেই জরুরী কাজে কুড়িগ্রাম গেছে। পরে নির্বাহী অফিসার কে  না পেয়ে তার ফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ হয়নি।


উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন এই বিষয়টা আমাকে অবগত করেছে। প্রক্রিয়া চলছে খুঁটি সরানো হবে।



এমতাবস্থায় ড্রেনের মধ্য থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো না হলে এই বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

Post a Comment

Previous Post Next Post